খুলনার জাতিসংঘ শিশুপার্কে কিশোর পলাশ হত্যা মামলার প্রধান আাসমি ফাহিমসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬ ও পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে তাকে ফরিদপুর জেলার সদর থানার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে ফাহিমকে এবং নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, মাইনুল ইসলাম আবির, রাকিবুল ইসলাম তুর, মাহিম ফারাজ ও খাইরুল ইসলাম হৃদয়।
গ্রেপ্তারকৃত ফাহিম সোনাডাঙ্গা থানার ফেরিঘাটের টিনসেড বস্তি এলাকার ভুট্টার ছেলে। আজ র্যাব-৬ এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, হত্যা শিকার পলাশ একজন ইজিবাইক চালক। পলাশের সাথে আসামিদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত রোববার (৬ এপ্রিল) রাতে খুলনার জাতিসংঘ পার্কে আসামিরা পলাশের এর সাথে মারপিট করে। এক পর্যায়ে তার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
পরবর্তীতে পলাশকে স্থানীয় লোকজন ও তার চাচা চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গত সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পলাশের বাবা খুলনার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুলনার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায় র্যাব।
খুলনা সদর থানার ওসি সানওয়ার হুসাইন মাসুম জানান, ইজিবাইক চালক পলাশ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ছিলেন। তার সঙ্গে ফাহিমসহ অন্যদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত ৬ এপ্রিল রাতে শিশুপার্কের ভেতরে আসামিরা পলাশকে মারধর এবং তার পেটে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আঘাতে কারণে তার পেট থেকে নাড়ি বের হয়ে যায়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন পলাশ মারা যায়।
ওসি জানান, মারা যাওয়ার পূর্বে পলাশ তার চাচার কাছে আসামিদেন নাম বলে গিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুল হামিদ বাদি হয়ে খুলনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র্যাব ও পুলিশ নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পলাশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফরিদপুরের নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থান করছে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে র্যাব। এসময় র্যাব-১০ (সিপিসি-৩) এর সহায়তায় ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Comments
Post a Comment