প্রাণের খুলনা ডেস্ক
জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুথানের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছররা গুলিতে দুই চোখ হারান মাহবুব আলম। দুই চোখের আলো হারানো মাহবুব আলমের পাশে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীও আর রইলেন না। বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে চলে গেছেন তিনি।
মাহবুব আলম বলেন, আমার বিষয়টি মানবিক হওয়ার পাশাপাশি বাস্তবতাও রয়েছে। আমার স্ত্রী বাস্তবতার বিষয়টি চিন্তা করেই হয়ত চলে গেছেন। যেহেতু তিনি চলে গেছেন, দেনমোহর তার প্রাপ্য। পারিবারিকভাবে আলোচনার মাধ্যমেই দেনমোহরের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা তার অধিকার। অন্যথায় তার কাছে আমি ঋণী থাকতাম। তিনি সুখী হোক সেই দোয়া করি। এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই আমার।
মাহবুবের মা হালিমা বেগম বলেন, তার এই অবস্থার মধ্যে স্ত্রী চলে যাওয়াটা কষ্টকর। সে তার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসতো। তার স্ত্রী চলে গেলে আমরা তাকে আটকাতাম না। কিন্তু এই সময়ে চলে যাওয়ার কষ্ট হয়ত আমার ছেলেটা নিতে পারবে না। আমি মা হয়ে তার কষ্ট সহ্য করতে পারছি না। স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা অনেকটা চাপ দিয়েই দেনমোহরের টাকাসহ মেয়েকে নিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুথানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলিতে নষ্ট হয়েছে ৪০১ জনের চোখ। এর মধ্যে ১৯ জন দুই চোখেরই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। এক চোখ নষ্ট হয়েছে ৩৮২ জনের। এ ছাড়া ২ জনের দুই চোখে ও ৪২ জনের এক চোখে গুরুতর দৃষ্টিস্বল্পতা দেখা দিয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তথ্যসূত্রে পাওয়া তথ্য।
Comments
Post a Comment