দীর্ঘদিনের পারিবারিক জমিজমার জের ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৮ এপ্রিল খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলা গ্রামে উক্ত সংঘাতের ঘটনা ঘটে। ২ ভাইয়ের সংঘাতে ১ ভাই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা থেকে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিলে গত ২২ এপ্রিল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাইনতলা নিবাসী মৃত সোরাপ শেখের ছেলে মো: ইসা শেখ এবং বায়োজিদ শেখ ২ জনে একই জমির উপর মালিকানা দাবি করে আসছিলেন। পারিবারিক সালিশ ও স্থানীয়ভাবে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়।
গত ১৮ এপ্রিল ওই জমির সীমানা নির্ধারণ, ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্য সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারি হয়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, স্থানীয় মনিরুলের দোকানের সামনে রাস্তার উপর গত ১৮ এপ্রিল বিকাল ৪টায় মীমাংসার জন্য পরিবারের সকলে মীমাংসা স্থলে উপস্থিত হন। এমন সময় আল আমিন বায়েজিদ শেখ (বাদী) কে হঠাৎ করেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে উত্তেজিত হয় এবং একপর্যায়ে আসামি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠি দিয়ে (বাদীর) মাথায় সজোরে আঘাত করলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। বাদী ইসা শেখের পকেটে থাকা ১২ হাজার টাকা এবং হাতের ঘড়ি নিয়ে নেয় আসামীরা।
একপর্যায়ে মীমাংসায় উপস্থিত স্থানীয়রা বাদীকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে ডাক্তার দ্রুত সিটি স্ক্যান করার কথা বলেন। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট নরমাল আসায় হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে বাদী সুস্থ হয়ে এলাকাবাসী সকলের সাথে কথা বলে থানায় মামলা করতে গেলে থানার কর্তৃপক্ষ আদালতে আশ্রয় নিতে বলেন।
ঘটনার পরপরই (বাদী) ইসা শেখ গত ২২ এপ্রিল বিজ্ঞ নালিসী মামলার আমলি আদালত, বটিয়াঘাটায় ১৩৬/২৫, ধারা ৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ ধারা অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করেন যা মামলার প্রস্তুতিতে চলমান। (মামলা নথিপত্রে যা উল্লেখ)
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি ইতোমধ্যেই দেওয়ানি আদালতে মামলা আকারে প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, এ ধরনের পারিবারিক বিরোধে সংঘর্ষ ও আইনি ঝামেলা বেড়ে যাওয়ায় সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানে আহ্বান জানিয়েছেন।
Comments
Post a Comment