খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক আমরণ অনশনের আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ আহ্বান জানান।
তবে আলোচনার প্রস্তাব গ্ৰহণ করলেও আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার, সহকারি ছাত্র কল্যাণ পরিচালক রাজু আহমেদ ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আশরাফুল গনি ভূঁইয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ ফারুক হোসেন, অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন, অধ্যাপক ড. রাজিয়া খাতুন, অধ্যাপক ড. রোকনউদ্দিন, অধ্যাপক ড. ইলিয়াস এনাম, অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান, অধ্যাপক ডক্টর মনির হোসেন, অধ্যাপক ড. আওলাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. আহমেদ হাসান আলী, অধ্যাপক ড. কাউসার আহমেদ রিজভী, অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে কুয়েট শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে। এক দফা দাবি পূরণে তাদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় শেষ হচ্ছে। ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
গতকাল রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কুয়েটের ইইই বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীর সৈকত ও আই ই এম বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উপল এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালেও উপাচার্য নিরাপত্তা দিতে পারেননি। উল্টো ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের বাইরের একজন আদালতে মামলা করেছে। এছাড়া ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে হামলাকারী নয় বরং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।
তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তারা উপাচার্যকে অপসারণের দাবি জানালেও কোনো সুফল পাননি। তাই বাধ্য হয়ে আমরণ অনশন করবেন।
অন্যদিকে শিক্ষকরা বলছেন, আন্দোলন করছে অল্প কিছু শিক্ষার্থী। তারা সব শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করে না। আন্দোলন না করে তাদেরকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তারা।
Comments
Post a Comment