sayeed

বিতর্কিতরা থাকায় খুলনা এনসিপির কমিটি প্রশ্নবিদ্ধ

স্থানীয়রা কেউ না জানায় গুঞ্জণে তোলপাড়


পিকে রিপোর্ট 

সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির খুলনা জেলা ও পাইকগাছা উপজেলার সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলায় ২১ সদস্য বিশিষ্ট আর উপজেলায় ১১ সদস্য। যার মধ্যে বিতর্কিত ব্যক্তিরা প্রধান পদসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকায় উঠেছে প্রশ্ন, চলছে সমালোচনা-গুঞ্জন।

জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হয়েছেন এড. মাফতুন আহমেদ। যিনি জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ছিলেন। এমনকি পাইকগাছা থেকে তিনি এমপি পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। আরেক সদস্য আবু বকরের অশ্লীল ভিডিও যথারীতি ভাইরাল। সেই সাথে তার কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্রের ছবিও নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলছে।

খুলনার পাইকগাছা উপজেলা এনসিপি'র আহ্বায়ক কমিটি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটিতে আ'লীগের সাবেক এমপি রশিদুজ্জামানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত মোঃ হাফিজ বিন আমীনকে প্রধান সমন্বয়ক ও উপজেলা তরুণ লীগ নেতা বহুল আলোচিত মোঃ মিনারুল ইসলাম সানা ওরফে টোল মিনারুলকে যুগ্ম সমন্বয়কারী করে আগামী তিন (০৩) মাস অথবা আহবায়ক কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত নিম্নোক্ত কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 


বুধবার (৪ জুন) জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্তরা হলেন প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ হাফিজ বিন আমিন, যুগ্ম সমন্বয়কারী মোঃ মিনারুল ইসলাম সানা, মোঃ খলিলর রহমান বাবু, শেখ নূরজয় মিস্ত্রী, মিসবাহ আহমদ।


সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ হাবিবুর রহমান, এলিট হোসেন, সমাইল সরদার, আসিফ সরদার, জিএম আব্দুল্লাহ আল মাসুম। কমিটি প্রকাশ হলে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি থানা পুলিশ তরুণ লীগ নেতা বহুল আলোচিত মিনারুল ইসলাম সানা ওরফে টোল মিনারুলকে থানায় নিয়ে আসলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওসি তদন্ত ইদ্রিসুর রহমানকে বলেন। সেই কথপোকথন ভাইরালের পর আলোচনার ঝড় উঠে উপজেলা জুড়ে।

পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক জি এম মিজানুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের পুনর্বাসন করার জন্য এ কমিটি করা হয়েছে। 


পাইকগাছা পৌর বিএনপির আহবায়ক আসলাম পারভেজ জানান, আমরা গত ১৫/১৬ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দ্বারা হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। সেই দোসরদের এনসিপিতে পদ দিয়ে জুলাই শহীদদের অপমানিত করা হয়েছে।


কমিটির বিষয়ে পৌর জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আ.লীগ দোসরদের পদ দিয়ে এনসিপি সামনে আনলে সেটা কেউ মানবে না। আমরা এর নিন্দা জানাই।

খুলনা এনসিপির কোনো দায়িত্বশীলকে পাওয়া যায় নি বিধায় তাদের বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে খুলনার এনসিপি নেতা তরুন উদীয়মান সাংবাদিক এবং জেলা ক্রোড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য মো: সাইফুল ইসলামের কাছ থেকেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি। 

এ ব্যাপারে কেউ কথা বলতে নারাজ বলেই মনে হচ্ছে।

Comments

sayeed

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ