পি কে ডেস্ক# কাজ না করেও মুজুরি দেয়া হয়েছে
খুলনা ওয়াসায় অবশেষে মিটার চুরির ঘটনায় এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী আর এক জোনাল কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং সংশ্লিষ্টদের শো-কস করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওয়াসার এমডি মো: আবু সাইদ মঞ্জুরুল আলম।
তিনি এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এই দুর্নীতি আর অনিয়ম অতীত সরকারের আমল হতে শুরু হয়েছে।
তুরস্ক হতে আনা ব্যবহৃত পানির মিটার ওয়াসার চারটি ষ্টোর হতে রহস্যজনকভাবে খোয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে জুলাই মাসে এনটিভি এবং এনটিভি অন লাইনে অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ হয়। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে তিন মাস আগে যোগদান করা ম্যানেজিং ডাইরেক্ট নজরে আসলে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেন।
মো: আবু সাইদ মঞ্জুরুল আলম বলেন, প্রায় দুই ট্রাক মিটার ষ্টোর থেকে চলে গেলে নিরাপত্তা প্রহরী, সিসি ক্যামেরা ষ্টোরের তালা ঠিক থাকলো ? কেউ দেখলো না ? তিনি বলেন ষ্টোর রুমে নতুন মিটার রয়েছে সেখানে সেই মিটার অক্ষত রইল শুধু ব্যবহৃত মিটার খোয়া গেলো -তা সংশ্রিষ্টরা জড়িত না থাকলে সম্ভব না। আবার তা চারটি জোনের চারটি ষ্টোর হতেই। আবার এই মিটার আনতে অনেক কর্মকর্তা তুরস্ক সফরও করেছেন।
ওয়াসার বোতলজাত প্রকল্পটি তিন মাস বন্ধ থাকলেও সেখানে মাষ্টার রোলে কর্মকর্তাদের কোন কাজ না করিয়েই মাসে ১৮ লাখ টাকা মুজুরী প্রদান করা হচ্ছে। বোতালজাত প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মো: কামাল হোসেনর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এমডি সাহেব ছাড়া অন্যদের কথা বলতে মানা রয়েছে।
ওয়াসার এমডি মো: আবু সাইদ মঞ্জুরুল আলম জানান, প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা চিন্ময় কুমার বৈদ্যকে প্রকল্প হতে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। একটি মটরের জন্য প্রকল্পটি তিন মাস বন্ধ। তিনি মাষ্টার রোলে থাকা কর্মকর্তাদের কাজ না করিয়ে মুজুরী দেবার কথা স্বীকার করেন। বলেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা এক নারীকর্মী খাতায় সই করে মুজুরী তুলছেন। তিনি বিষয়টিকে বিগত সরকার আমলের সমস্যা বলে জানান।
এমডি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, একটি মটরের জন্য এই বোতালজাত প্রকল্পটি তিনমাস ধরে বন্ধ। পরে ইটালী হতে সেই মটর ক্রয় করার পরও চালু করা যাচ্ছিল না। বোতলজাত প্রকল্পের যে মেশিনারী স্থাপন করা হয়েছে তার সফটওয়ার রয়েছে ভারতীয় একটি প্রতিষ্টানের কাছে। যে কারনে ইটালির একটি মটর এনে পুন: স্থাপন করা হলেও প্রথমে চালু করা যায়নি। পরে ভারতীয় বেঙ্গালেুরের একটি প্রতিষ্টান সফটওয়ার নিয়ে এসে মেরামত করলে সেটি চালু করা সম্ভব হয়। তিনি এই নিয়ম কানুন বদল করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।
Comments
Post a Comment