পি কে ডেস্ক
নগরীর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতির পরিবারের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর দুর্ব্যবহার ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে। খুলনা মহানগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান টুকুর পরিবার এ অভিযোগ করেন।
গতকাল সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে টুকুর বড় ছেলে সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাসজিদ জামান সামিন এ অভিযোগ করেন।
পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে লবণচরা থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে হাজী মালেক কবরস্থান সংলগ্ন যুবদল নেতা ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান টুকুর বাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তারা তাঁর পরিবারের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার, গালিগালাজ ও ছেলেকে মারপিট করে। তাদের বাড়িতে কোন অস্ত্র না থাকলেও পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সদস্যরা একনলা বন্দুক, ৯ রাউন্ড গুলি ও একটি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার দেখিয়েছে। তার বাবাকে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করেছে। তার পরিবার স্থানীয় রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার।
তাসজিদ জামান সামিন বলেন, ‘ বিগত সরকারের আমলে তার বাবা একের পর এক মিথ্যা মামলা, হয়রানি-নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার। তার বাবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় কমপক্ষে ৭-৮টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। আমি বিগত জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুলনার সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে সমন্বয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। নিজের জীবন বাজী রেখে ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছি। আর এখন ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশে আমার বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে অমানবিক আচরণ ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছি। আমরা পরিবারের সদস্যরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
যুবদল নেতা কামরুজ্জামান টুকু পরিবারের সদস্যরা অবিলম্বে মুক্তি ও মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তারের প্রতিকার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে কামরুজ্জামান টুকুর স্ত্রী এলেনা পারভীন, শ্যালিকা লুৎফুন্নেছা উপস্থিত ছিলেন।
Comments
Post a Comment